এই ব্লগটি সন্ধান করুন

৩১ মে, ২০১৫


ভন্ড ও ভন্ডমী
                - মো: জাহাঙ্গীর. আলম
কুকুরও এখন মধ্য রাতে
শেয়ালের মত হুকা হুয়া ডাকে
খেয়ে নেয়, মুনিবের মাল চুপি সারে
ভোর বেলা যথেস্ট পরিমান ঘেও ঘেও করে
 মৃনিবকে বুঝায়,  মুনিব খমা করেন
যথা সাধ্য চেস্টা করেছি

১৪ মে, ২০১৫

কষ্টে ভরা জীবন আমার
দুঃখে ভরা মন,
মনে সাথে যুদ্ধ করে আছি
সারাক্ষন,
তারার সাথে থাকি আমি চাঁদে
পাশাপাশি,
আজব একটা ছেলে আমি দুঃখ
পেলেও হাসি।

অপেক্ষায়


কবি,
বলেছিলে রাই কিশোরীর আঁচলের গিটে
জোছনা বেঁধে দিবে
বেসামাল চক্ষু নদীর জলে
দু’ ফোটা ভালবাসা মিশিয়ে দিবে।
বলেছিলে,
মরা মাধবী লতার জীবন ছেড়ে
ডালিম ফুলের মতো টুকটুকে
আরো একটি কবিতা দিবে।
বলেছিলে,
একটি রাতের শরীর ছুঁয়ে
এক পাশে তুমি,
অন্য পাশের ক্ষত বিক্ষত চাঁদ সরিয়ে
আমার ঝাপসা চোখের পাতায়
কিংবা মৃত শহরের বুকে


২৮ এপ্রি, ২০১৫

কোথায় তুমি মা


কত আগুন জ্বলছে আমার এ বুকে , চোখের পানিতে ভেসে যায় হৃদয় ভাংগা দুঃখে ছোট বেলায় কত আনন্দে খেলা করেছি , মায়ের কোলে মাথা রেখে সব বেদনা ভুলেছি । সে কথা মনে উঠলে অন্তর ফেটে যায় , রোদে ,ঝড় বৃষ্টি লাখতে দেয়নি 'মা' গায় । কখনো মাকে ফেলে দুরে চলে গেলে দরজায় দাড়িয়ে মা তুমি ভেসেছ চোখের জলে , মা গো আমার চোখের পানি এখন ডাকছি তোমায় আমায় ফেলে তুমি রয়েছ কোথায়
c

২৫ এপ্রি, ২০১৫


 আমি
*******************
আমি জানালা খুলে রাখি, ভোরে কিংবা বিকেলের শেষে
আশায় থাকি শিল্পীর ঘোলাটে রঙের মতো একটি ছায়া পড়বে কখনো
জানালার ওপ্রান্তে বাতাসে দোলা শাড়ির আঁচল আসবে
বৃষ্টিভেজা একটা খোঁপা দেখবো
একটি ছায়া শুধু আমার জন্য উষ্ণ হবে বলে আমি জানলাটা খুলে রাখি,

অন্ধকারের খন্ড শিহরণ ছাঁপিয়েও আমি চোখ খুলি না
তুমি কেমন করে ফুল ফোঁটাও, কেমন করে তাকাও
কি অযতনে আমার শরীরে তুমি গন্ধ রেখে যাও
অনেক সাহস করেও আমি তোমায় ছুঁতে পারি না
শুধু সাহস করে, আমি খুলে রাখি জানালাটা

আমার সর্বস্ব দিয়ে আমি জানালাটা খুলে রাখি,
ভাবি, তুমি এসেছিলে, ভাবি তুমি আবার আসবে
জাগরণে নয়, নিদ্রায় নয়, সস্তা কোন ঘোরে নয়,
আমার সমস্ত কিছু এলোমেলো করতে তুমি আসব্‌
আমি লুটপাট হবার অপেক্ষায় জানালা খুলে রাখি...
অপেক্ষায় থাকি, কখন তুমি চলে যাবে আর কখন আমি কাঁদবো

      কাঁদবো
===========================
আমিও কাঁদবো একদিন
এই আকাশ,এই মেঘ
যতই কান্নার ভান করে বর্ষা আনুক,
এর চে’ ঢেরগুণ বেশি কাঁদবো।
কখনো, কোন এক মহুর্তে কাঁদতেই হবে
কাঁদবার সাধ যে প্রকটতর আমার,
মেঘের কিনারে মোম গলা বৃষ্টি
চোখ কচলা কচলাতে নেমে আসুক তৃণ ভূমে,
এর চে’ঢেরগুণ বেশি কাঁদবো।
জলবায়ুর বিবর্তনে
প্যাকেটের ভেতরে ক্ষয়ে যাওয়া
ন্যাপথলিনের মতন
আমিও অবশিষ্ট থাকবোনা,
পাথরের ক্ষীণ হতে হতে বিদীর্ণ হবার মতনই
ঠিকঠাক আমিও চৌচির হবো,
তখন প্রকারান্তরে কেঁদে যাবে আমার নিদান চোখ।
হাঁসির ঠোঁটে অমাবস্যা আসবে,
অথবা বোশেখের তান্ডব আসবে,
খাওয়া,নাওয়ার সময় থাকবেনা গোছগাছ মতন,
এভাবেও যদি না পারো কাঁদাবার,
তবে এক মুঠো চোরা অাঘাত দিয়ে দিও,
আমি কাঁদবোই কাঁদবো।
 Image result for কাঁদবো


খুঁজে ফেরা


         অভিশাপ দিবো না দিবো না কোন অপবাদ
বলবো শুধু বলে যাও কি ছিল অপরাধ  
          শরতের সকালে যেদিন দেখেছি প্রথম
ভাবিনি কখনো তোমার হব আমি এ অধম
           পরা ছিল লাল শাড়ি খোঁপায় রক্তজবা
সোনালি সকাল শুভ্র আকাশ
             প্রিয়তমা তোমাতে আমার প্রথম হারিয়ে যাওয়া
আজ শুধু অতীত খুঁজে ফেরা

১৩ এপ্রি, ২০১৫

আসুন বরণ করে নেই ১৪২২ বঙ্গাব্দকে। অবশ্যই তা যেন হয় নিজস্ব সংস্কৃতিকে ঠিক রেখে এবং সুস্থ সাংস্কৃতিক ধারা বজায় রেখে।
শুভহোক ১৪২২ বঙ্গাব্দ। শুভ নব্বর্ষ।

৫ এপ্রি, ২০১৫

বৈশাখ

ড়রমণীর নকশা গালে
পথের পাশে আলে আলে
বৈশাখ আসে সোরগোলে।
যুবকের পাঞ্জাবি গলে
নারু মোয়া ছাতু গিলে
বৈশাখ আসে মিষ্টির দোকানে।
গানে গানে প্রানে প্রানে
ঢাকের তালে সুর তুলে
বৈশাখ আসে রমনার বটমূলে।
শিশু কিশোরের ঊচ্ছ্বাসে
মায়ের ব্যস্ততায় সাড়া দিয়ে
বৈশাখ আসে পাজনের কড়াই শুন্য করে।
অগ্নিমূর্তি সূর্য নিয়ে
কাঁচা আমের সুবাস মেখে
বৈশাখ আসে বিহুফুলের শাখে শাখে।
প্রতি ঘরে চৌখাটে
তকতকে আসবাবে
বৈশাখ আসে নিম-ফুল মালা গলে।
নব হালখাতার নব আয়োজনে
নতুনের শুভ উদ্বোধনে
বৈশাখ আসে অতীতের ক্লান্তি ভুলে।
আসে বৈশাখ রুদ্র ঝড়ে
কালবৈশাখী মাথায় করে
যেন পুরাতন ধুয়ে দিবে নিজ করে
এই প্রত্যয় পন করে
বৈশাখ আসে উঠোনে
শিশুর আঁকা প্রতীকী শত্রু দমনে।

এলো এলো রে বৈশাখী ঝড় এলো এলো রে


 ------------------------- কাজী নজরূল ইসলামের
এলো এলো রে বৈশাখী ঝড় এলো এলো রে,
ঐ বৈশাখী ঝড় এলো এলো মহীয়ান সুন্দর।
পাংশু মলিন ভীত কাঁপে অম্বর চরাচর থরথর।।
ঘনবনকুন্তলা বসুমতী সভয়ে করে প্রণতি,
সভয়ে নত চরণে ভীতা বসুমতী।
সাগর তরঙ্গ মাঝে তারি মঞ্জীর যেন বাজে বাজে রে
পায়ে গিরিনির্ঝরঝরঝর ঝরঝর।।
ধূলিগৈরিক নিশান দোলে ঈশান গগন চুম্বী,
ডম্বরু ঝল্লরী ঝাঁঝর ঝনঝন বাজে
এলো ছন্দ বন্ধনহারা এলো রে
এলো মরুসঞ্চর বিজয়ী বীরবর।।
 

  এসেছ হে বৈশাখ



বৈশাখী রোদে আবার বেজেছে রঙিন কাঁচের চূড়ি
দখিনা বাতাসে আজ ওড়াবো আমার মন ঘুড়ি ৷
বাসন্তী রঙ শাড়ির ভীরে আজ আবার হারাবো
কৃষ্ণচূড়ার লাল আগুনে মন আবার পোড়াব ৷
আজ নাচবো আজ গাইবো আজ মাতবো প্রাণ খুলে
আজ নাচাবো আজ গাওয়াবো আজ মাতাবো সব ভুলে ৷
আজ অনেক দিনের পরে হবে আবার সমর্পন
মন ঘুড়িটায় থাকবে ভরে লাজুক শিহরণ ৷
আজ মন বাঁশরীর সুরে সুরে ভুবন মাতাবো
যাদুর কাঁঠির ছোঁয়ায় আজ তোমায় জাগাবো ৷
তুমি হাসবে তুমি ফাঁসবে তুমি আমায় জড়াবে
তুমি দুষ্টু চোখের চাহনীতে আমায় ভরাবে ৷
আজ বৈশাখের রঙের মেলায় আমার নিমন্ত্রণ
আজ ধন্য বড় ধন্য আমার ক্ষুদ্র তুচ্ছ জীবন ৷



(সবাইকে বৈশাখী শুভেচ্ছা)

১ এপ্রি, ২০১৫

বৃষ্টি

ঝুম বৃষ্টি হইতাছে !!
ঝুম বৃষ্টি আমার অনেক প্রিয় ...কার কার ভালো লাগে এই ঝুম বৃষ্টি !!
ভিজতে অনেক ইচ্ছা করছে কিন্তু একটু আগে গোসল করলাম তাছাড়া ছাডে উঠা যায় না আমাদের বাড়ি তে, রাস্তায় নেমে ভিজা সম্ভব না !! মন খারাপ !! তাই জানালার ফাক দিয়া বৃষ্টি দেখি !! কি আফসুস যে হইতাছে !! ঢাকা শহরে নিজেদের বাড়ি না থাকলে কিছুতেই মজা নাই !! চাবি বাড়িওল্লার মেয়ের কাছে , এই রাত ৯ টায় চাবি চাওয়ার মতো আদিক্ষেতা আমার নাই , কিন্তু আবার মন খারাপও লাগছে অনেক !! অনেক দিন বৃষ্টি ভিজা হয়ে উঠে না , বাইরে থাকলে কাগজ পাতি মোবাইল ইটিসি এর জন্য ভিজা হয় না আর বাড়িতে থাকলে ছাডের উঠতে পারি না বলে শুধু চোখের কোনে জাপ্সা জানালার ফাকেঁ আর হাত দুটো গ্রিলের বাইরে দিয়ে তোমায় ছুতেঁ বাড়িয়ে দেই আমার হাত !!
বৃষ্টি আমার ভিষন প্রিয় , কারন কি তুমি? জানি না তো ? তোমার ও বৃষ্টি প্রিয় ছিল বলেই কি আমি আমার প্রিয় এর তালিকায় অন্তভুক্ত করেছি ? কি জানি !! তবে এখন তুমি নেই আমার ভুবনে , তোমার প্রিয় কোন কিছু দেখলেই তোমার ছবি চোখের কোনে ভেসে উঠে ...বৃষ্টির সাথে সাথে মনে হয় আমার মনেও কিছু মেঘ জমেছে !! কে জানে হয়তো জেড়ে ফেলে দিতে চেয়েছে বারবার কিন্তু এই মেঘের সম্মহিত ক্ষমতা অনেক বারবার জমা হয় !!